জাহিদ বিন জোবায়ের।
একাধারে হাফিজ, আলিম, মুফতি এবং তরুণ লেখক ও অনুবাদক।
জীবনটা চলছিল অন্য দশজনের মতই। কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করে মাদরাসাতুল মাদীনায় ভর্তি হয়ে পাঁচ বছর যাপন দেশের অন্যতম খ্যাতিমান লেখক সাহিত্যিক মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ (আদীব হুজুর)–এর নিবিড় সোহবতে। এখান থেকেই তাঁর অন্তরে জাগে সাহিত্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও কলম-সাধনার দৃঢ় প্রত্যয়। সে সময়েই শুরু হয় লেখালেখির যাত্রা; লিখে ফেলেন বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি।
পরে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া শরইয়্যা মালিবাগে ভর্তি হন এবং ২০২৩ সালে সেখান থেকে তাকমীল (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি একই প্রতিষ্ঠানে ইসলামি আইন ও ফিকহ শাস্ত্রে উচ্চতর গবেষণায় নিয়োজিত।
২০২৩ সালে আফগানিস্তান থেকে প্রকাশিত “ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা” বইটির অনুবাদ করে পাঠকমহলে বেশ প্রশংসিত হন। এরপর তিনি একাধিক বই লেখেন ও অনুবাদ করেন, যার কিছু প্রকাশিতব্য।
২৪ এর ছাত্র-সমাজের অভ্যুত্থানটা তাকে বেশ ভাবিয়ে তুলে। কারফিউয়ের দিনগুলো থেকেই যোগ দেন ছাত্র সমাজের আন্দোলনে। নিজের অংশগ্রহণের অভ্যুত্থানকে অবিকৃত রাখতে আন্দোলন চলাকালীনই লেখক এ বিষয়ে কলম ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তারই বহিঃপ্রকাশ আজ আপনার হাতে। “লেখক বলতে ইচ্ছা করেন, লিখতে পছন্দ করেন এবং ঝরাতে ভালোবাসেন।” আল্লাহ তাআলা লেখককে দ্বীনের জন্য কবুল করুন, আমীন।