চাণক্য শ্লোক ও চাণক্য নীতিসূত্র (হার্ডকভার) |
||
Author | : | কৌটিল্য প্রণীত |
---|---|---|
Category | : | বিবিধ বই |
Publisher | : | মুক্তদেশ প্রকাশন |
Price | : | Tk. 240 |
সারাদেশে হোম ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৭০ টাকা # ১৪৯৯+ টাকার বই অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি ! বি:দ্র: গ্রাহক বইটি অর্ডার সম্পূর্ণ করার পরে যদি নতুন সংস্করণের মূল্য পরিবর্তন হয় তাহলে বইটি পাঠানোর আগে আপনাকে আমাদের টিম ফোন করে জানিয়ে দিবে । |
সারাদেশে হোম ডেলিভারি চার্জ মাত্র ৭০ টাকা # ১৪৯৯+ টাকার বই অর্ডার করলেই পাচ্ছেন ফ্রি হোম ডেলিভারি !
বি:দ্র: গ্রাহক বইটি অর্ডার সম্পূর্ণ করার পরে যদি নতুন সংস্করণের মূল্য পরিবর্তন হয় তাহলে বইটি পাঠানোর আগে আপনাকে আমাদের টিম ফোন করে জানিয়ে দিবে ।
কে এই চাণক্য?
প্রাচীন ভারতের খ্যাতিমান কূটনীতিজ্ঞ, রাজনীতিবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করলে চাণক্যের নাম প্রথমেই স্মরণ করতে হয়। মানুষের জীবনে কীভাবে চলা, বলা ও বাস করা উচিত, সে সম্পর্কে কোনো নীতিশিক্ষা দিতে গেলে প্রায়শই চাণক্যের নীতিবাক্যই এসে যায়। এই চাণক্য সম্পর্কে কয়েকটি উক্তি যেমন–
‘চাণক্যমাণিক্যমমূল্যরত্নম,
স্বদেশজংষৎ ত্রিদিবেহপ্যলভ্যম্।’ (তারাশর্মা)
‘বুদ্ধিরের জয়ত্যেকা পুংস: সবার্থসাধনী।
যদ্বলাদেব কিং কিং ন চক্রে চাণক্য ভূসূরঃ \ (রবিনর্তক)
মন্ত্রিত্বে তস্য চাত্যর্থ্য বৃহস্পতি সমংধিয়া।
চাণক্যং স্থাপয়িত্বা তৎস মন্ত্রী কৃতকৃত্যতাম্ \ (কথাসরিৎসাগর)
নীতিশাস্ত্রমৃতং ধীমানর্থ শাস্ত্রমহোদধেঃ।
সমুদ্দধ্রে নমস্তস্মৈ বিষ্ণুগুপ্তায় বেধসে (কামন্দক)
প্রভৃতি অসংখ্য প্রশস্তিবাক্য পাওয়া যায় এবং এই গ্রন্থেরও পরিসমাপ্তিতে ধৃত ঈশ্বরচন্দ্র শাস্ত্রী কর্তৃক লিখিত।
নানাসন্দর্ভ সারোখং গভীরার্থ প্রকাশকং
বালানামান্তবোধায় কৌটিল্যেন কৃতং পুরা
নানাশাস্ত্রোদ্ধৃতং বক্ষ্যে রাজনীতি সমুচ্চয়ম্।
সর্ববীজমিদং শাস্ত্রং চাণক্যং সার সংগ্রহম্
এরূপ তিনটি প্রশস্তি বাক্য পাওয়া যায়, সেরূপ আবার চাণক্য সম্পর্কে আধুনিক গবেষকদের সংশয়েরও অভাব নেই। তথাপি চাণক্যকে কেউ অস্বীকার করতে পারেন না।
চাণক্য সমস্যা বিবাদ হয় অর্থশাস্ত্র প্রণেতা কৌটিল্য ও নীতিশাস্ত্র প্রবক্তা চাণক্য এক ব্যক্তি বা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি এই নিয়ে। বিভিন্ন প্রমাণের মাধ্যমে অর্থশস্ত্রে রচয়িতা কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত ও মৌর্য চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী চাণক্য একই ব্যক্তি বলে অধিকাংশ পণ্ডিত স্বীকার করেন। দুটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হলো–যে অর্থশাস্ত্র কৌটিল্যের রচনা বলে প্রসিদ্ধ, সেই অর্থশাস্ত্রের সমাপ্তিকার্যে গ্রন্থকার লিখে গেছেন–
দৃষ্ট বিপ্রতিপত্তিং বহুধা শাস্ত্রেষু ভাষ্যকারাণাম্
স্বয়মেব বিষ্ণুগুপ্তশ্চকার সূত্রং ভাষ্যং চ \
দ্বিতীয় উল্লেখ্য প্রমাণ হলো, হেমচন্দ্রের ‘অভিধান-চিন্তামণি, গ্রন্থে বলা হয়েছে–
‘বাৎস্যায়নো মল্লনাগঃ কৌটিল্যশ্চণকাত্মজঃ।
দ্রামিলঃ পক্ষিল্যস্বামী বিষ্ণুগুপ্তোহঙ্গুলশ্চ সঃ \’
‘পক্ষিল’ নাম হয়েছে চাণক্য তার্কিক ছিলেন বলে। রাজনীতিবিদ হওয়ার কারণে তিনি ‘কৌটিল্য’। জোতির্বিদ্যার গ্রন্থে তাঁর নাম বিষ্ণুগুপ্ত। কামশাস্ত্রের গ্রন্থে নাম বাৎস্যায়ন। নীতিশাস্ত্রের গ্রন্থে নাম চাণক্য। বিরাট যোদ্ধা হিসেবে নাম হয়েছে ‘মল্লানাগ’। ‘অঙ্গুল’ শব্দের পরিবর্ত পাঠ ‘আশুল’। তার অর্থ বলবান বৃষস্কন্ধ প্রভৃতি হতে পারে। তাঁর ডাক নাম ছিল খণ্ডদৎ। মায়ের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ হিসেবে তিনি তাঁর একটি দাঁত উপড়ে ফেলেন–এরকম সব প্রবাদ আছে।
চণকস্য মূনেঃ গোত্রাপত্যং–এই অর্থে চাণক্যপদ সিদ্ধ হয়। চণক শব্দের উত্তর ষ্যঞ্ প্রত্যয়ের দ্বারা। ‘গোত্রাপত্য’ বলতে পৌত্রাদি বোঝায়। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে পূত্রাদিকেও বুঝিয়ে থাকে। সুতরাং ব্যাকরণ অনুসারে চণকমুনির বংশে জাত পূত্র পৌত্রাদির কেউ চাণক্য হবেন–এরকম বলা চলে। ‘দশরূপকে’র, অবলোক, টীকায় ধনিক বৃহৎকথা থেকে যে শ্লোকের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, তাতে ‘চাণক্য’ নাম আছে। ‘চাণক্যনাম্মা তেনাথ...’। ‘কথাসরিৎসাগরে’ সোমদেবভট্টও চাণক্য’ নাম গ্রহণ করেছেন ‘চাণক্যং’ স্থাপয়িত্বা.. \’ ‘পঞ্চতন্ত্রা; দিতে ও ‘চাণক্য নাম। ‘স্কন্দপুরাণে’ ও ‘চাণক্য’ নামই দেখা যায়। ‘ততোহপি দ্বিসহস্রেষু দশাধিকশতত্রয়ে। ভবিষ্যৎ নন্দরাজ্যং চ চাণক্যো যান্ হনিষ্যতি।’
কৌটিল্য নামের ব্যুৎপত্তি ‘উপাধ্যায়নিরপেক্ষা’ টীকায় এভাবে দেওয়া হয়েছে ‘(কুটল) কুটিলত্বাৎ (কুটোঘট) কুটির্ঘট উচ্যতে। তং ধান্যপূর্ণং (ভূতং) লান্তি সংগৃহুন্তি প্রাতঃসময়ে হোমাদ্যর্থং নাধিকং, অধিকং তু ব্রাহ্মণানুদ্দিশ্য সদ্য: প্রক্ষালয়ন্তি ইতি কুটিলাঃ। কুম্ভীধান্যা ইতি প্রসিদ্ধা। অতএব কুটিলনাম্যপত্যং বিষ্ণুগুপ্তঃ কৌটিল্যঃ।’ কুট ধান্যপূর্ণ ঘট। যারা তা সঞ্চয় করেন, তাঁরা কুটল। সেই বংশেজাত ব্যক্তি কৌটিল্য। ‘কুটল’ শব্দের অন্য আরেক অর্থ কুম্ভীধান্য। যাঁরা এক বছরের জীবনধারণের মতে খাদ্যশস্য সঞ্চয় করেন, তারা কুটল। সেই বংশে জাত ব্যক্তি কৌটিল্য।
::চাণক্য শ্রোক::
কদাচিদপিচারিত্রং নলক্সঘয়েৎ
ন ক্ষুধার্ত্তোহপি সিংহস্তৃণঞ্চরতি
প্রাণাদপি প্রত্যয়োরক্ষিতব্যঃ
পিশুনঃশ্রোতা পুত্রদারৈরপিত্যজ্যতে
বালাদপ্যর্থজাতং শুণুয়াত্
অনুবাদ : কখনো স্বীয় চরিত্র লংঘন করবে না।
মর্মার্থ : ব্যবহার ক্ষেত্রে মানবের চরিত্র বিশুদ্ধি একান্ত আবশ্যক, অপর গুণ প্রকাশের পূর্বেস্বভাব বা চরিত্র অগ্রে প্রকাশ পায়। নীতিবিদগণ বলেছেন, ‘অতীত্যহি গুণাহ সবাস্বভাবোমুদ্ধি বর্ত্ততে। সকল গুণকে অতিক্রম করে নিজ স্বভাব বা চরিত্র গুণাবলির মস্তকে অবস্থান করে। সুশীলতা দ্বারা অনেককে বশীভূত করে অনায়াসে বহু কার্য সাধন করা যায়। সচ্চরিত্রতা প্রদর্শন করতে পারলে শিক্ষিত জনগণের বিশ্বাসভাজন হওয়া যায়।
অনুবাদ : ক্ষুধায় পীড়িত হয়ে সিংহ কখনো ঘাস খায় না।
মর্মার্থ : মনস্বী শক্তিমান পুরুষ বিপদ জালে জড়িত হলেও স্বীয় পথচ্যুত হয় না। দুঃখ, শোক, বিপদ ক্ষণস্থায়ী, সত্য অবিনশ্বর, সত্যই জগতের স্থিতির হেতু, অতএব মহাশক্তি পুরুষ সম্পদ, বিপদ অর্থাৎ সকল অবস্থায় নিজ মহত্ত¡ হারায় না, যেমন সিংহ অতিশয় ক্ষুধার্ত হয়েও তৃণ ভোজন করে না।
Title | চাণক্য শ্লোক ও চাণক্য নীতিসূত্র |
---|---|
Author | কৌটিল্য প্রণীত |
Translator | ঈশ্বরচন্দ্র শর্ম্ম, শাস্ত্রি বেদান্তভূষণ, |
Publisher | মুক্তদেশ প্রকাশন |
ISBN | 9789848690732 |
Pages | 190 |
Edition | 1st Published, 2021 |
Country | Bangladesh |
Language | Bangla |
25%
Please login for review